কবি বদরুল হক চৌধুরীর বর্ণিল জীবনের সংক্ষিপ্ত কাব্য….

জন্মঃ ৩১ ডিসেম্বর ১৯৬১ইং
পুরাতন লক্ষনশ্রী, সুনামগঞ্জ। বাবাঃ মরহুম ইর্শাদ চৌধুরী,
মাতাঃ মরহুমা মরিয়ম চৌধুরী।
পেশাঃ আইনজীবি
কবি, সংগঠক,
টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপক, সম্পাদক ও পরিচালক

সাহিত্য ও বার্ষিকী সম্পাদক, সুসম ছাত্র সংসদ ১৯৮১-৮২।
সম্পাদকঃ সাপ্তাহিক সুনাম ও দৈনিক আজকের বিশ্বসংবাদ ও সিলেটের খবর, সিলেট (অধুনালুপ্ত)।
প্রতিষ্ঠাতাঃ “শেষ বিকেলের কবিতা ও গান”।
সভাপতিঃ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ সদর ও সুনামগঞ্জ নাগরিক মঞ্চ, ঢাকা।
আজীবন সদস্যঃ
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ও
সুনামগঞ্জ সমিতি,ঢাকা।

প্রধান নির্বাহীঃ চ্যানেল BNN92,
SDtv ও হাসনরাজা ফাউন্ডেশন।

পড়াশুনাঃ সুনামগঞ্জ সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

#সাহিত্যসংস্কৃতিতেপথচলা….

সাহিত্য ও বার্ষিকী সম্পাদক, সুনামগঞ্জ সরকারি মহাবিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ১৯৮১-৮২।

সম্পাদকঃ সাপ্তাহিক সুনাম ও দৈনিক আজকের বিশ্বসংবাদ ও সিলেটের খবর, সিলেট (অধুনালুপ্ত)।

কবি ও সদস্য: “শেষ বিকেলের কবিতা ও গান”।

সভাপতিঃ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ সদর ও সুনামগঞ্জ নাগরিক মঞ্চ, ঢাকা।
আজীবন সদস্যঃ সুনামগঞ্জ সমিতি,ঢাকা।

প্রধান নির্বাহীঃ bnn92. com, SDtv ও হাসনরাজা ফাউন্ডেশন।

তাঁর প্রথম কবিতাঃ গ্রীষ্মের ছুটি ১৯৭৪
দেয়ালিকাঃ কল্লোল ১৯৭৪
তারপর কিশলয় ১৯৭৬
কবিতাপত্রঃ জন্মের প্রস্তুতি ১৯৮৩ ঢাকা।
সম্পদিত প্রকাশনাঃ আমি তোমাকে ভালোবাসি’৮১
সবুজসখ্যতা ‘৮২,
সুন্দরম’৮৩/৮৪
ব্যতিক্রম’৮৫/৮৬,
শেষ বিকেলের কবিতা’৮৭,
এক নদী রক্ত’৮৮
দিনচিত্র’২০০০

বদরুল চৌধুরী আফসোস করে বলেন–
১৯৮০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় প্রায় ২০০ বিজয়ী সার্টিফিকেট ও তাঁর লেখা ৫০০ কবিতা একত্রে জমা করেছিলেন। কিন্তু সবি নষ্ট হয়ে গেছিলো। এর জন্য ৩/৪ দিন কেঁদেছিলেন তিনি।

নিজের সৃষ্টি সন্তানের মতো। তাঁর জন্য চোখের জল তো পড়বেই। আমরাও কাঁদি তোমাদের জন্য, একজন বদরুল চৌধুরীর মতো কবিদের জন্য। আবার ফিরে এসো অনন্ত যৌবন নিয়ে। ভালোবাসায় মাখামাখি হোক মানুষে মানুষে, কলমে- কাগজে। শহর আবারও প্রকম্পিত হোক তোমাদের কবিতার শব্দে। ভালো থেকো কবি। আর এই দরিদ্র লেখকের জন্য দোয়া কর। কলম যেন ধরে রাখতে পারি তোমাদের তরে।

আশির দশকে সুনামগঞ্জের কাব্যচর্চায় শৈল্পিক কবি ও সংগঠক——#বদরুল_হক_চৌধুরী (সায়েজ বদরুল)
অণীশ তালুকদার বাপ্পু
মৌনতার চাঁদরে ঢেকে আছে
অনেক ইতিহাস
কৃষ্ণকায় কার্পেটে মোড়ানো
শহরের রাস্তায় তোমাদের পদচিহ্ন
আমাকে মনে করিয়ে দেয়
আশির দশক
তোমরা ছিলে কাশবর্ণের কাগজে
কাজল রঙের কলমে
বিরামহীন আড্ডায় চলতো
শব্দ নিয়ে কবিতার খেলা
নব যৌবনের পদার্পণে
কত তরুণ-তরুণী
পড়েছে প্রেমের ফাঁদে
তোমাদের কবিতা পাঠে
অতঃপর নিরব প্রস্থান
স্মৃতির যাদুঘরে শেষ বিকেল
তোমরা হয়েছো ফেরারি আসামী।
————————————————-
আশির দশকের দাপুটে কবি বদরুল হক চৌধুরীকে আমার স্বরচিত কবিতার চরণ উৎসর্গ করেই আজকের নিয়মিত লেখার সূচনা করলাম।
বিশ্ববিখ্যাত গ্রিক কবি ও দার্শনিক অ্যারিস্টটল বলেছেন, ‘কবিতা দর্শনের চেয়ে বেশি, ইতিহাসের চেয়ে বড়।’ কবি এলিয়ট বলেছেন, ‘কবিতা রচনা হলো রক্তকে কালিতে রূপান্তর করার যন্ত্রণা।’
জল সবুজের শহর সুনামগঞ্জে আশির দশকে কাব্যচর্চা ও কবিতাঙ্গনে যে ক-জন তরুণ স্বপ্নবাজ কবি কলমের মাধ্যমে শব্দ-বাক্যের যুগলবন্দীতে আলোর দ্যুতি ছড়িয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম কবি ছিলেন মোঃ বদরুল হক চৌধুরী (সায়েজ বদরুল)।
তিনি ছিলেন জল সবুজের শহরে তরুণ-তরুণীদের প্রিয় কবি। যাঁদের কবিতা তখনকার সময়ে কাব্যপ্রেমি মানুষদের মন ছুঁয়ে যেত বিশেষ করে তরুণদের হৃদয়ে ঝড় তুলতো সেইসব কবিদের মধ্যে অন্যতম কবি ছিলেন বদরুল চৌধুরী।
বর্তমানে আমার মামলার তালিকায় প্রধান কবি আসামী। তাঁর বিরোদ্ধে অভিযোগ, তিনি কবিতার শহরের পাঠকদের কাছ থেকে নীরবে প্রস্থান করেছেন।
১৯৮২ সুনামগঞ্জের কাব্য চর্চায় নব দিগন্তের সূচনা হয়। এই বছরের বিদায়লগ্নের অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর শুভ সূচনা হয় শেষ বিকেলের কবিতা ও গান শিরোনামে একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। সুনামগঞ্জের স্বপ্নবাজ প্রানোচ্ছল কয়েকজন কবিদের স্বরচিত কবিতা পাঠ আর রবীন্দ্র-নজরুল-হারানো দিনের গানের যুগলবন্দী পরিবেশনায় শহরের আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হতো। এই অনুষ্ঠানের কবি- কর্মী ছিলেন বদরুল চৌধুরী।
#তাঁর কলম লিখেছে…
যদি হৃদয়ের সাথী পাই
ওই ‘কালো কিশোরী’
জানাবো তাকেই
ভালোবাসি, খুব ভালোবাসি
আমি ভালোবাসি তোমাকে…
তাঁদের কাব্য চর্চার আলোকিত সময়ে হয়তো আমার বয়স ছিলো একযুগ। কবিতা সংকলেনর রঙিন মলাট তখন আমার হৃদয়কে নাড়া দিত অন্যরকম সুবাসে।

স্থায়ী ঠিকানাঃ জালালপুর, মোল্লাপাড়া ইউপি, সদর, সুনামগঞ্জ।
বর্তমান ঠিকানাঃ সড়ক-০৮, বাড়ি-১৭, সেক্টর -০৭, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০

ফোনঃ
+৮৮০ ১৭ ১১৯৬ ৮১৬৬
+৮৮০ ১৬ ৭৫৭৫ ৭৫৫৫

Email: bnn92bd77@gmail.com